ছবি সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যখন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তখন কি আপনার গোয়েন্দা বিভাগ বিছানার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে? তাদের কি শুধুমাত্র বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার জন্যই কি আপনি তৈরি করেছেন?
আজ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল কর্তৃক আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার প্রধানের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ডামি সরকার গোটা জাতিকে একটা ইস্যু প্রেমি বানানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে একেক সময় একেক ঘটনা ঘটাচ্ছে সরকার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বেনজীররা যে দুর্নীতি করেছে আজিজরা যে দুর্নীতি করেছে অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে, গোয়েন্দা বাহিনীগুলো কি করে? তারা কি দেখে না? তাদের কি শুধুমাত্র বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার জন্যই কি আপনি তৈরি করেছেন? তাদের কি শুধু ইলিয়াস আলীকে গুম করার জন্য রাখা হয়েছে? সাইফুল ইসলাম হিরুকে গুম করার জন্য রাখা হয়েছে? যুবদল নেতা সুমনকে গুম করার জন্য তাদের রাখা হয়েছে? তা না হলে একজন পিয়ন কি করে ৬০ কোটি টাকার মালিক হয়? একজন ড্রাইভার যদি ১০০ কোটি টাকার মালিক হয় সেটা কি আপনার সরকার জানবে না?
রিজভী বলেন, যখন বিসিএসের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তখন কি আপনার গোয়েন্দা বিভাগ বিছানার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে? মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যখন ফাঁস হয় তখন তারা কি করে? তারা কি দিনের বেলায় ঘুমান? তা না হলে এত দুর্নীতি হয় কি করে?
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজকে বাংলাদেশের বুক চিরে পার্শ্ববর্তী দেশের রেললাইন নিয়ে যাবে আমাদের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার জন্য এই কাজগুলো করা হচ্ছে। অথচ আমাদের সীমান্তে যখন এদেশের নাগরিকদের হত্যা করা হয় রক্তাক্ত করা হয় তখন এই সরকার কোন প্রতিবাদ করে না তারা নিশ্চুপ হয়ে যায়। অথচ সেই দেশের রেললাইন তাদের (ভারতের) স্বার্থে আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে রেলের করিডোর দেয়া হচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ডামি সরকারের দখলদার প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কলাকৌশলে জিয়া পরিবার এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্নভাবে হেয় করেও যখন জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি এখন নতুন করে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। যে নেত্রী কখনো কোনো স্বৈরাচারের কাছে আপোষ করেননি। তার জনপ্রিয়তাই একজন ব্যক্তির হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের পরিচালনায় আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সিরাজ হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, ছাত্রদল নেতা সাহাবুদ্দিন ইমন, মো. সাব্বির, ডা. পিয়াস, শাহ পরান, মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদ, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান প্রমুখ।